লামা প্রতিনিধি :: লামায় কেন্দ্রীয় হরি মন্দির ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। মামলায় ১৪২ জনকে এজাহারনামীয় ও ৪৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। লামা থানা পুলিশের এসআই আশরাফ হোসেন ও হরি মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রশান্ত ভট্টাচার্য বাদী হয়ে রোববার দিবাগত রাতে মামলা দুটি করেন। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করেছে।
সূত্র জানায়, কুমিল্লায় কোরআন শরীফ অবমাননার ঘটনার জের ধরে গত বৃহস্পতিবার লামা বাজারে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে কর্তব্যরত পুলিশ ও লামা কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরে হামলা করে বিক্ষোভকারীরা। এ ঘটনায় থানা পুলিশের এসআই আশরাফ হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মো. শাহীনকে প্রধান আসামি করে ৪৮ জনের নামে মামলা করেন। এতে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এ মামলায় ৪ জনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- মো. কাউসার ( ৩৫), মো. খালেক (৪০), আল আমিন (১৯) ও মো. নিজাম (২৭)। আদালত তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। অপরদিকে কেন্দ্রীয় হরি মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রশান্ত ভট্টাচার্য বাদী হয়ে ৯৪ জনের নামে মামলা করেন। এতে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
পুলিশের মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এজাহারনামীয় আসামিরা মাছ বাজারের পাশে লামা কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরের আশপাশে অবস্থান নেয়। পরে আসামিরা মন্দিরে হামলা চালায়। তারা পুলিশের উপরও হামলা করে। এসময় লামা থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান গুরুতর আহত হন।
এ সময় পুলিশ সদস্যরা বাড়িঘর, হরি মন্দির ও সাধারণ মানুষের জান-মাল রক্ষায় রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় পুলিশ সদস্য আশরাফ হোসেন, আহছাব উদ্দিন, হাছিবুল আলম, ফরিদুল ইসলাম, জাকির হোসেন, সোহেল রানা, ই্উছুপ আলী, মাহবুবু আলম ও বাবুল আকতার আহত হন।
লামা কেন্দ্রীয় হরি মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রশান্ত ভট্টাচার্য চকরিয়া নিউজকে জানান, ৯৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে। লামা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মো. আলমগীর দুইটি মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটক করতে অভিযান চলছে।
পাঠকের মতামত: